"তাহলে কি সত্যি কাল দেখা হচ্ছে?"
"হুম... ইনশাল্লাহ। জান আমার খুব ভয় হচ্ছে।"
রাগের সাথে, "আবার!"
"দেখ আমি কিন্তু দেখতে একদম ই সুন্দর না। "
" শুন জান আমি তোমার ভিতরের তোমাকে ভালোবাসি।ভালোবাসি তোমার কন্ঠকে, তোমাকে, তোমার চেহারাকে নয়। তুমি দেখতে কেমন তা দিয়ে আমার কি হবে বল?
তুমি এত টেনশন কর না। আই হোপ সব ভাল হবে। আর আমিও চাই একেবারে মন থেকে চাই যে সব ভাল হোক।"
"তারপরও ভয় হয় যদি তুমি আমাকে পছন্দ না কর।"
"দুর কি যে পাগলামী কর না,এসব আর বলবে না।এমন তো হতে পারে তুমিই আমাকে পছন্দ করলে না, তখন?"
"আরে দুর কি যে বল না।"
"আচ্ছা জান তুমি কি পরে আসবে?"
"কেন বলত?"
"বারে তোমাকে চিনব কি করে?"
"কেন মোবাইল আছে না?"
“হুম... তা অবশ্য থিক...”
"আমি কিন্তু একদম নরমাল ই আসব। তুমিও সব সময় যেভাবে ভার্সিটি যাও সেভাবেই আসবা।কোন মেক-আপ করবা না কিন্তু... আমি ব্লাক টি-শার্ট পরব। তুমি ?"
“ওকে ওকে। আমি ফতুয়া আর জিন্স পরে আসব”
“জিন্স!! তুমি না ভার্সিটি তে জিন্স পর না!! আজ কে কেন পরবা? আমি কিন্তু একদম নরমালি আস্তে বলসি..."
“ :/ আচ্ছা যাও পরব না জিন্স।পাজামা পরব। এবার খুশি?”
“ আচ্ছা জিন্স পইর সমস্যা নাই।। এমনি বলসি... কোন রং এর ফতুয়া?"
“ এটা কে কি কালার বলে? হুম... হাল্কা পিঙ্ক টাইপ এর । আচ্ছা শুন মা ডাকছে এখন রাখছি।"
"আচ্ছা ঠিক আছে আজ বিকাল চারটায় তাহলে দেখা হচ্ছে।"
"হুম,এখন রাখি।"
ফোন রাখার পর আনন্দে আত্নহারা হবার উপক্রম হল সবুজের।রিনির সাথে মোবাইলে পরিচয় প্রায় ৩ মাস ধরে।এই দুষ্ট মিষ্টি মেয়েটাকে সে এতদিনে আসলেই অনেক ভালোবেসে ফেলেছে মেয়েটিও না দেখে ততটাই ভালবেসে ফেলেছিল।কিন্তু যতবার দেখা করার কথা বলেছে ততবার নানা করনে দেখা হয়ে উঠে নি।সবুজের অজুহাত ছিল যদি তাকে রিনির পছন্দ না হয়।কি যে পাগল ছেলেটা ।
দুপুর গড়ানোর সাথে সাথে আনন্দের সাথে টেনশনও বাড়তে লাগল সবুজের ।যদি রিনি তাকে পছন্দ না করে তবে?
ফোন বাজতে লাগল সবুজের। "হ্যা রিনি বল। কই তুমি? "
"তুমি কোথায়? তুমি পৌছে গেছ?"
"হুম...মাত্র।"
" আমার র ৫ মিনিট লাগবে। তুমি মাঝের গেটের ভিতরে দাড়াও। "
হিমশীতল বসুন্ধরা সিটি তে ঢুকেও ঘামতে লাগল সবুজ । অবশেষে তাদের দেখা হল। সামনা সামনি দেখা হতেই রিনির হাসিমুখটা হটাত মলিন হয়ে উঠল। ব্ল্যাক টি-শার্ট পরা কাল বেটে ছেলেটাই তার সবুজ!
"কি ব্যাপার রিনি তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন? তুমি কি অসুস্থ?"
আমতা আমতা করে বলল, "না ও কিছু নয়। তুমি সবুজ ?"
মুচকি হাসি "কি ভেবেছিলে অনেক সুন্দর কেউ?"
"না মানে....সেরকম কিছু না। চল এবার উঠা যাক... "
বসুন্ধরার ফুদ কোর্টে গিয়ে খাবারের অর্ডার দিল সবুজ...
খাওয়া দাওয়া শেষে
কিছুক্ষন পরই সে বলল, "সবুজ, আমি আজকে উঠি । "
"কি বলছ! এখুনি?"
"হুম, আমার কাজ আছে। তোমার সাথে আবার মিড টার্ম এর পর দেখা হবে। "
বিমর্ষ সবুজ বলল, "তুমি না বললে আগামি সপ্তাহে আবার দেখা হবে।"
"না।পরীক্ষা আছে। এক্সাম এর পর হবে।"
ফোন ধরছে না রিনি। অনেক্ষন পর রিনির এসএমএস সবুজের মোবাইল এ...
“ আমি বাসায় আসছি। আর মোবাইল এ ব্যাল্যান্স নাই। আজ আর কল দিতে পারব না। ভাল থেক। বাই।”
ফিরতি এসএমএস এ সবুজ রিনির রিলেসন এর বেপার এ ডিরেক্ট আন্সসার জানতে চাইল। বাট কোন রেপ্লাই নেই।
অবশেষে এফ বি তে রিনির নক
“হাই”
“আন্সার মি”
“কনটা?”
“দেখ আমি ঘুরানো কথা বলতে চাই না। তুমি যদি আমার সাথে সিরিয়াসলি রিলাসন এ থাকতে চাও দেন ইয়েস বল
আর যদি না চাও দেন নো বল। আমি তোমার ডিরেক্ট আন্সার জানতে চাচ্ছি। ”
“ আমিও করিনা ঘুরানো কথা”
“ তাহলে ইয়েস অর নো যে কোন একটা বল... খামাখা ঝুলায়ে রাখা ঠিক হচ্ছে না। ট্রু লি বললে আমি মাইন্ড করব না”
“ ওকে। আমি বলসি তোমাকে আমার ভাল লাগসে অ্যাটলিস্ট তুমি যেভাবে বলস সেরকম তুমি না। বাট তোমার হাইট...............।”
“তাহলে কি আমি 'নো' মনে করব তোমার আন্স্বার?”
“হুম...।”
রাগে , দুক্ষে , কষ্টে ছেলেটি ব্লক করল মেয়েটি কে...
ফুপিয়ে উঠল সবুজ।অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠল, হে আল্লাহ কি পাপ করসিলাম আমি...বেটে হওয়া টা কি আমার অপরাধ?